| ১১ মে ২০২০ | ১০:৫৮ অপরাহ্ণ | পড়া হয়েছে 536 বার
জাপান সরকার জানিয়েছে যে, করোনাভাইরাসের বিস্তারের দরুণ মে মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত দেশজুড়ে বলবৎ থাকা পরিকল্পিত জরুরি অবস্থা তারা তুলে নিতে পারে। এই পদক্ষেপ অন্যান্য জেলার পাশাপাশি বর্তমানে বিশেষ সতর্কতার অধীনে থাকা ১৩টি জেলার কয়েকটির উপর প্রয়োগ করা হবে।
সরকার বৃহস্পতিবার তাদের বিশেষজ্ঞ প্যানেলের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার পরিকল্পনা করছে।
আঞ্চলিক জনসংখ্যার অনুপাতের ভিত্তিতে সাপ্তাহিক নতুন সংক্রমণের সংখ্যা হ্রাস এ ধরনের একটি সিদ্ধান্তের কথা বিবেচনা করার নিয়ামকের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সরকার মারাত্মকভাবে সংক্রমিত ঘটনার আঞ্চলিক চিকিৎসাজনিত ব্যবস্থা যথেষ্ট উপযুক্ত কিনা এবং নতুন সংক্রমণ সংক্রান্ত হালনাগাদ উপাত্ত সংগ্রহের সঠিক পরীক্ষা ব্যবস্থা প্রতিটি জেলায় আছে কিনা তাও যাচাই করে দেখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রবিবার অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার মন্ত্রী নিশিমুরা ইয়াসুতোশি বলেন, সরকার বিশেষ সতর্কতার অধীনে না থাকা ৩৪টি জেলার অনেকগুলো থেকে জরুরি অবস্থা তুলে নেয়ার কথা বিবেচনা করবে।
তিনি এও বলেন, জরুরি অবস্থা গিফু, ইবারাকি এবং অন্যান্য “বিশেষ সতর্কতা” জারি থাকা জেলাগুলো থেকেও তুলে নেয়া হতে পারে যেখানে নতুন সংক্রমণের সংখ্যা কমেছে।
বিধিনিষেধ শিথিল করা জেলার মধ্যে টোকিও অন্তর্ভুক্ত থাকবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। রাজধানীতে রবিবার নতুন সংক্রমণের সংখ্যা ছিল ২২। টোকিও’তে নতুন করে সংক্রমণ অব্যাহত থাকলেও পর পর গত ৫দিন এই সংখ্যা ৪০ জনের নিচে ছিল।