সাইফুদ্দিন আহমেদ | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ৭:৫৩ পূর্বাহ্ণ | পড়া হয়েছে 1954 বার
তুর্কী জাতি বলতে কি তুরস্ককে বুঝায়? তুরস্কের জনসাধারণকে সাধারণত তুর্কী হিসেবে সম্বোধন করা হয়।তবে তুরস্কের বাইরেও তুর্কী জাতির মানুষ বসবাস করে।শুধু তাই না,তুর্কী জাতির তুরস্ক ছাড়া আরো ৬ টি স্বাধীন রাষ্ট্র আছে।
মধ্য এশিয়ার কাজাখস্তান, কিরঘিস্তান,উজবেকিস্তান,তুর্কমেনিস্তান হলো তুর্কী জাতির রাষ্ট্র। এছাড়া টান্স্র ককেশাসের আজারবাইজান নামক রাষ্ট্রটিও একটি তুর্কী রাষ্ট্র। পাশাপাশি ভূমধ্যসাগরের বুকে অবস্থিত সাইপ্রাস (তুর্কী) নামক দেশটিও একটি তুর্কী জাতিভিত্তিক রাষ্ট্র।
অর্থাৎ বিশ্বে তুরস্ক ছাড়াও তুর্কি জাতিভিত্তিক ৬ টি রাষ্ট্রের অস্তিত্ব আছে।
তুর্কী জাতির আরো একটি রাষ্ট্র একসময় অস্তিত্ব ছিলো।চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের উইঘুর মুসলিমরা মূলত তুর্কী জাতিভুক্ত।তাদের ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত পূর্ব তুর্কিস্তান নামক একটা স্বাধীন দেশ ছিলো।চীনের লাল ফৌজ ১৯৪৯ সালে এই দেশটি দখল করে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করে নেয়। উইঘুর মুসলিমরা এখনো মনেপ্রাণে “পূর্ব তুর্কিস্তান ” কে আবার ফিরিয়ে আনতে চায়।(আল্লাহ তাদের সহায় হউক)
উসমানীয় আমলে বলকান অঞ্চলে প্রায় ৪০০ বছর মুসলিম শাসন বিরাজ ছিলো।আর তাই বলকানের আলবেনিয়া,বসনিয়ায় ব্যাপক তুর্কি জাতির মানুষ বসবাস করে।পাশাপাশি কসোভা,বুলগেরিয়া, মন্টিনেগ্রো তেও তুর্কীদের উল্লেখযোগ্য অস্তিত্ব আছে।
রাশিয়ায় মোট ৮ টি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রদেশ আছে। আর এই প্রদেশগুলোতে বসবাসকারী দেড় কোটি মুসলমানদের প্রায় অর্ধেকই তুর্কী জাতিভুক্ত।
ইউক্রেনের ক্রিমিয়া(এখন রাশিয়ার অধিকৃত) একটি তুর্কী সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকা।
অর্থাৎ বুঝাই যাচ্ছে,তুর্কী জাতি মানে বিশাল একটা জনগোষ্ঠী। বিভিন্ন জাতিভিত্তিক তুর্কী রাষ্ট্রগুলো যদি ইইউ এর মতো একটা কার্যকরী সংস্থা গঠন করতে পারে তবে তাহলে তুর্কী রাষ্ট্রগুলো অন্যতম পরাশক্তি হিসেবে গড়ে উঠতে সক্ষম হবে।
তথ্য কৃতজ্ঞতাঃ মুসলিম বিশ্ব আপডেট